বিজেপি সরকারের প্ররোচনায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণ অব্যাহত। ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের। এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বাংলা বললেই বাংলাদেশী এমন ধারণা পোষণ করছে এসব রাজ্যের সরকার গুলো।
ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, দিল্লির মতো রাজ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশি হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ব্যতিক্রম নয় গুরুগ্রাম। সে রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১০ জনকে বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের রেশ ছড়িয়েছে সেখানকার বাংলাভাষী পরিযায়ী বস্তিগুলিতে। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তাঁদের দরজায় এসে জোরে জোরে লাথি মারা হচ্ছে। মধ্য রাতে বাধ্য করা হচ্ছে দরজা খুলতে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় সব নথি দেখিয়েও মিলছে না শান্তি। আধার কার্ড দেখালেও তাদের ‘বাংলাদেশি’তকমা দিয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। টেনেহিঁচ়ড়ে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে থানায়। তারপর আটক।
এমনই ঘটনার শিকার হয়েছেন মালদার এক বাসিন্দা। নাম নাম আঞ্জারুল। পাঁচ বছর আগে পেটের দায়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন তিনি। যান হরিয়ানায়। সেখানে টিগরগাঁওতেই থাকেন তিনি। পেশায় রঙ মিস্ত্রি তিনি। দিন তিনেক আগেই নিজের ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশের এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একে একে রাজ্য ছাড়ছে ওই বস্তির বাসিন্দারা। যারা রয়ে গিয়েছেন, তারা পালানোর কথা ভাবছেন। বাকি ঘরগুলোতে তালা ঝুলছে। কিন্তু যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা কোথায় যাচ্ছেন?এই প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয়রা বলেন, ডিটেনশন ক্যাম্পে। গুরুগ্রামের সেক্টর ৪০-এর একটি কমিউনিটি সেন্টারে ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে তুলেছেন তারা।
স্থানীয়দের দাবি, গত কয়েকদিনে ‘বাংলাদেশি’সন্দেহে আটক হওয়া ১০০-এর অধিক বাংলাভাষীকে এনে রাখা হয়েছিল সেই সরকারি কমিউনিটি হলেই। তবে আপাতত সেটিও ফাঁকা। হাতেগোনা দু-এক জন থাকলেও, সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আটক বাংলাভাষীদের।
জেড নিউজ, ঢাকা।
