শুরুতে প্রতিমন্ত্রী, পরে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরই স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্প ও কেনাকাটায় একক আধিপত্য গড়ে তোলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি কেনাকাটা, ওষুধ সরবরাহ এবং প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কাজে ভাগ বসিয়ে হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
সরকারি ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগসের কারখানা স্থাপনের জন্য উদ্যোগ হাতে নেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ১১৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
এখানেও স্ত্রী-সন্তানসহ আত্মীয় স্বজনের জমি অধিগ্রহণে তিনগুণ টাকা নিয়েছেন তিনি। এতে সরকারের ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয় বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, মানিকগঞ্জে জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬ হাজার শতক জমি রয়েছে। এরমধ্যে ছেলে রাহাত মালেকের নামে ৯১টি দলিল, মেয়ে সিনথিয়ার নামে ২২টি এবং জাহিদ মালেকের নামে রয়েছে ৪৬টি দলিল।
দুদক সূত্র জানায়, মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মৌজায় কেনা এসব জমির মধ্যে জাহিদ মালেকের নামেই রয়েছে ২ হাজার ১৯৩ শতাংশ। তার ছেলে রাহাত মালেকের নামে ১ হাজার ৭৪২ শতাংশ এবং ১ হাজার ১১৯ শতাংশ জমি কেনা হয়েছে মেয়ে সিনথিয়া মালেকের নামে। বিপুল পরিমাণ এই জমির দলিলমূল্য বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দেখানো হয়েছে। বাজারমূল্যে এসব জমির দাম হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন দুদকের অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্টরা।
জেড নিউজ, ঢাকা।



