০১/১২/২০২৫, ১২:২১ অপরাহ্ণ
spot_img

এ সপ্তাহের সেরা

সম্পর্কিত পোস্ট

কর্মক্ষেত্রে কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানোর উপায়

জেড নিউজ ডেস্ক
আমাদের কথা বলার ধরণ ব্যক্তি জীবন ও পেশাদার জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি সম্পর্ক কথা বলা বা যোগাযোগের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। তাই আমাদের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় শুধু কাজে দক্ষ হওয়াই যথেষ্ট নয়, এর সঙ্গে প্রয়োজন যোগাযোগে বা কথা বলায় দক্ষতা।

কর্মক্ষেত্রে সুন্দরভাবে যোগাযোগ করতে পারার এই গুণটিকেই আমরা কমিউনিকেশন স্কিল হিসেবে চিনি। এটি আমাদের সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক থেকে শুরু করে পদোন্নতি পর্যন্ত সব ধাপেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই কর্মক্ষেত্রে কথা বলার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে-

১. শোনার অভ্যাস করা
ভালো কমিউনিকেশন মানেই শুধু কথা বলা নয়। এটি হলো সক্রিয়ভাবে শোনা এবং বোঝা। কখন কথা বলবেন আর কখন শুনবেন, সেটা বুঝে নিতে হবে। অনেকেই অতিরিক্ত কথা বলতে ভালোবাসেন। তাই মনে রাখুন কথোপকথনের সময়ে অপরপাশের মানুষটির কথা শোনাও জরুরি।

২. সহজ ভাষায় কথা বলা
আমরা সবাই চাই অন্যরা আমাদের কথার মানে সহজে বুঝুক। কিন্তু অনেক সময় জটিল শব্দ বা অপ্রয়োজনীয় বাক্য ব্যবহার করলে সহকর্মীরা ভুল বোঝে বা মনোযোগ হারায়। তাই সহজ, সাবলীল ভাষা ব্যবহার করা খুব জরুরি। সেই সঙ্গে অফিসে অযৌক্তিক কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।

৩. ইঙ্গিতের অর্থ বোঝা
মুখে না বলে আকার-ইঙ্গিতেও অনেক কিছু বোঝানো যায়। অনেক সময় এমন পরিস্থিতিতে থাকে যে সরাসরি কিছু না বলে, অনেক কিছু বুঝতে হয়। মুখে থাকা এক্সপ্রেশন, চোখের দৃষ্টি, হাসি বা ভ্রু ভাঁজ-সবই এক ধরনের ইঙ্গিত। হাতের নড়াচড়া, শরীরের ভঙ্গি, চলার ধরণ থেকেও বোঝা যায় মানুষের ভাবনা বা অনুভূতি। তাই সহকর্মী কিংবা বসের ইঙ্গিত বুঝতে হলে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার চর্চা করুন।

৪. ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করা
স্কিল রাতারাতি আসবে না। প্রতিদিন কিছু না কিছু বলার বা শোনার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। ছোট প্রচেষ্টা ধীরে ধীরে বড় পরিবর্তন আনবে।

আপনার কথা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, আপনার প্রকাশভঙ্গিও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই চেষ্টা করুন, শিখুন এবং ধৈর্য ধরুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয়