২০০৮ সালের আগেও বিভিন্ন হাটে চট পেতে বসে ধান কিনতেন । সে ধান আবার গরুর গাড়িতে করে বিভিন্ন মোকামেও পৌঁছে দিতেন নিজেই ।এভাবেই হয়ে ওঠেন ধান-চালের ব্যাপারী।
কিন্তু হাটে চট পেতে ধান বেচা-কেনা করা মানুষটি আজ হাজার কোটি টাকার মালিক। তিনি আর কেউ নন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একসময় গরুর গাড়িতে ধান বেচা সাধন, পরে রাজনীতির হাত ধরে উঠেন ক্ষমতার চূড়ায়।
আশির দশকে ছোট্ট একটি ধান ভাঙার কল বসিয়ে ব্যবসা বাড়ালেও মূল উত্থান ঘটে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর। ১৯৮৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পরে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ২০০৮ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। টানা চারবার এমপি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের দু’বার খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও পেয়েছেন।
আর এরপরই রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান সাধন । অভিযোগ রয়েছে বদলিবাণিজ্য, চালের বাজারের সিন্ডিকেট, টেন্ডারের কমিশন, জলমহাল দখল, আধিপত্য বিস্তারসহ ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় আয় করেছেন শত শত কোটি টাকা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে সড়ক বিভাগ, এলজিইডি, কৃষি বিভাগ, খাসপুকুর, সরকারি জমি ও বিভিন্ন নিয়োগবাণিজ্য ছিল তাঁর দখলে। পরিবারের সদস্যরাও তাঁর ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে জেলায় গড়ে তোলেন মজুতদারির সাম্রাজ্য।
তাঁর নির্বাচনী হলফনামাতেও ধরা পড়ে অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধি। ২০১৩ সালে ব্যাংকে নগদ ২১ লাখ টাকা ও কিছু সঞ্চয়পত্র দেখালেও ২০১৮ সালে সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় কয়েক কোটি টাকায়। এক সংসদ নির্বাচন থেকে অন্য সংসদ নির্বাচনের মধ্যকার সময়েও তাঁর হাজার কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ মেলে।
জেড নিউজ, ঢাকা ।