চব্বিশের ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। পালালেও বাংলাদেশে ঢুকে পড়বেন বলে নেতাকর্মীদের প্রায়ই আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে সেই আশ্বাসকে গুঁড়েবালি হিসেবে দেখছেন দেশের মানুষ।
তবে হাসিনার গুম-খুনকে পাশ কাটিয়ে আবারও তাকে প্রাসঙ্গিক করার অপচেষ্টায় ব্যস্ত ভারত ও তার প্রক্সিগুলো। এ লক্ষ্যে সচল করা হচ্ছে আওয়ামীপন্থি বিভিন্ন এজেন্সি। অভিযোগ উঠেছে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র এর মদতে হাসিনার পক্ষে জনমত তৈরির চেষ্টা চলছে।
সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের একটি সম্মেলন। এর নেপথ্যে ভারতের ‘র’-এর সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ। শোনা যায়, সেখানে অংশ নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় সারির কমিউনিস্ট নেতা গৌতম রায়।
এছাড়া ফ্যসিস্ট হাসিনার পক্ষে ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের একটি ওয়েব পোর্টাল নিয়মিত আওয়ামীপন্থিদের অনুষ্ঠান প্রচার করছে। অসংখ্য ফেসবুক ইনফ্লুয়েন্সারকেও টাকা দিয়ে পোস্ট করানো হচ্ছে।
এখানেই শেষ নয় ভুয়া তথ্য-উপাত্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও ব্যক্তি ইউনূসের বিরুদ্ধেও প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। এ প্রোপাগান্ডা আর নীলনকশা চলছে দিল্লিতে হাসিনার আশ্রয়স্থলে বসেই। সেখানে হাসিনার ঘনিষ্ঠ কলকাতার কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেয়ার ঘটনাকে অপচেষ্টা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
অনেকেই মনে করছেন, ভারত ও বাংলাদেশের একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। তবে রাজনীতির মাঠ গরমে হাসিনার একের পর বাগাড়ম্বর দেখা গেলেও বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জেড নিউজ, ঢাকা।