দিল্লির অভিজাত এলাকায় একটি নির্জন ফ্ল্যাটে এখন যেন গৃহবন্দী হয়ে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এই স্বৈরাচারী শাসক এখন শুধু খবরের বিষয় নন, বরং ভারতের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক সমস্যা। একসময় যে ছিল দিল্লির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র, আজ তাকে নিয়েই অস্বস্তিতে মোদি প্রশাসন। ভারত যেনো তাকে রাখতে চাইছে না, আবার সরাসরি ত্যাগও করতে পারছে না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও হাসিনার নাগাল পাচ্ছেন না। সম্প্রতি লন্ডন থেকে ভারতে পাড়ি দেওয়া হাছান মাহমুদ তিন সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করেও দেখা পাননি হাসিনার। এমনকি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও ব্যর্থ হয়েছেন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে।
ভারতের এ অবস্থান পরিবর্তন কৌশলগত এবং পরিষ্কার। তারা শেখ হাসিনার অধ্যায়কে ইতিহাসে পাঠাতে চায়। তারা এখন হাসিনা নয় বরং বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নিয়ে ভাবছে ।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারত গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগকে একমাত্র ভরসা হিসেবে দেখে বড় কূটনৈতিক ভুল করেছে। এখন তারা বিকল্প খুঁজছে, তবে সেটি দ্রুত সম্ভব নয়।
এই পরিস্থিতিতে এতটুকু নিশ্চিত, ভারত ও হাসিনা—উভয় পক্ষই এখন পরস্পরের কাছে বিব্রতকর অধ্যায়। এক সময়কার মিত্রতা যেনো আজ দুই পক্ষের মাথা ব্যথার কারণ। হাসিনা আজ ভারতের রাজনৈতিক বোঝা। আর ভারত বাংলাদেশের জনগণের কাছে হয়ে উঠেছে এক দালালি শক্তি, যারা এদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়ে শেষমেষ ব্যর্থ হয়েছে।
জেড নিউজ , ঢাকা ।