ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যকার একটি সরল-স্বাভাবিক সম্পর্ক নষ্ট হয় চব্বিশের ৫ আগস্টের পর। গণহত্যাকারী হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে একেবারেই বৈরীতায় মেতে উঠে মোদি সরকার। তবে তাতে লাভের বিপরীতে যে কত বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটি সেটি বোঝা যাচ্ছে সাউথব্লকের সাম্প্রতিক তৎপরতায়।
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বিশেষজ্ঞ ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘সামনে এগিয়ে নেওয়ার’ জোরালো সুপারিশ উঠে এসেছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, কংগ্রেস এমপি শশী থারুরের নেতৃত্বে এই কমিটির সঙ্গে চার শীর্ষ বিশেষজ্ঞের আড়াই ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনা হয়। বৈঠকটিতে দুই দেশের সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভারতের ‘হারানো অবস্থান’ পুনরুদ্ধারের কৌশল নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাসিনাকে কেন্দ্র ঢাকার সঙ্গে নয়াদিল্লির বৈরীতা আমলে নিয়েছে ঢাকা। সে কারনে ভারতের বাইরে চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক সৃষ্টি করেছে ইউনূস সরকার। আর তাতেই কানে পানি ঢুকেছে মোদি প্রশাসনের। দেশটি এখন বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় বিলুপ্ত সম্পর্ক কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায় তা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে।
কেননা তারা দেখছে, সম্পর্ক খারাপ থাকায় গত দশ মাসে নানাভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভারত। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিশেষ সখ্য তাদের এগিয়ে নেওয়ার বদলে বরং পিছিয়েই দিয়েছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।