ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রভাবে হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে এলএনজি আমদানি ব্যাহত হতে পারে। এটি হলে দেশে গ্যাসের সংকট বেড়ে যাবে। আমদানি করা ব্যয়বহুল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর অতিনির্ভরতা বাংলাদেশের গ্যাস সংকটকে আরো তীব্র করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে মোট সরবরাহকৃত গ্যাসের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশই এলএনজি সরবরাহ হচ্ছে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে এলএনজি আমদানি করে। কাতার থেকে এলএনজি আমদানির একমাত্র পথ হরমুজ প্রণালি। প্রতিবছর এই সমুদ্রপথ ধরে অর্ধশতাধিক এলএনজিবাহী কার্গো আসছে দেশে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হরমুজ প্রণালি ইরান দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশে এলএনজি আমদানির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার বড় শঙ্কা রয়েছে।
পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে আসা এলএনজির প্রায় পুরোটাই আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। এর মধ্যে বেশির ভাগ আসে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায়। তাই চাইলেই বিকল্প উৎস তৈরি করা সম্ভব নয়। এলএনজি আমদানি ব্যাহত হলে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে শিল্প-কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, সিএনজি স্টেশন ও আবাসিকে। তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে দ্রুত এ বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
জেড নিউজ, ঢাকা।