বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে দেশীয় অর্থায়নের ঘাটতি পূরণে সরকার প্রতিবছর বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে শর্তযুক্ত ঋণ নিচ্ছে। প্রতি মাসে এসব ঋণের একটি অংশ সুদ-আসলসহ পরিশোধও করা হচ্ছে। আর বিগত ১১ মাসে বিদেশি ঋণ ও সুদ পরিশোধে রেকর্ড গড়েছে বর্তমান সরকার।
তবে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অস্থিরতায় ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় এই পরিশোধ এখন সরকারের জন্য একধরনের বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) একটি হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশের অনুকূলে বিদেশি ঋণের যে পরিমাণ ছাড় হচ্ছে, তার একটি বড় অংশ পুরোনো ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশ যে পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ পেয়েছে, তার ৬৭ শতাংশই খরচ হয়েছে আগের ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সর্বশেষ তথ্যমতে, এই সময় বাংলাদেশ ৫৬০ কোটি ৮১ লাখ ডলার বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করেছে। তবে সেখান থেকে ফেরত দিতে হয়েছে ৩৭৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার, যার পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৪৫ হাজার ৬৭৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।
যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৩ শতাংশের বেশি। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে বাংলাদেশ ইতিহাসের সর্বোচ্চ বৈদেশিক ঋণ ও সুদ পরিশোধ করেছে। পাশাপাশি কমেছে নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড়।
জেড নিউজ , ঢাকা ।