গুম। দুই বর্ণের একটি ছোট্ট শব্দ। অথচ এর ভয়াবহতার বিস্তৃতি যে কত ব্যাপক তা ভুক্তভোগীরাই কেবল জানেন। ব্যক্তি থেকে পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতির এই নির্যাতন কৌশলের আবিস্কারক ছিলো গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেবল ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে বছরের পর বছর ধরে জারি রাখা হয় গুম, বানানো হয় আয়নাঘর। এই কাজে জোর করে রাজি করানো হতো সরকারি কর্মকর্তাদের। আর যারা রাজি হতো না তাদের তালিকা পাঠানো হতো হাসিনার কাছে।
গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুম–খুনের ঘটনায় জড়াতে যে সব কর্মকর্তা অস্বীকৃতি জানাতেন তাদের তথ্য সরাসরি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছানো হতো।এমন একটি ঘটনা তুলে ধরে কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক দিন ধরে আটকে রাখা এক বন্দীকে হত্যা করার নির্দেশ পেয়েছিলেন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বেআইনি এই হত্যাকাণ্ডে জড়াতে অস্বীকৃতি জানান। পরে এ বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে হাসিনা জানানো হয়।
পাঁচ আগস্টের পর গণভবন থেকে এমন কিছু চিঠি উদ্ধার করা হয়। চিঠিগুলো ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত শেখ হাসিনা নিজের ফাইলে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন বলে কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জেড নিউজ, ঢাকা।