২৯ জুলাই, ২০২৪-সোমবার। সমন্বয়কদের মুক্তির দাবি উপেক্ষা করে রাজপথে হত্যা জারি রাখে হাসিনা সরকার। সাধারণ মানুষের মধ্যে তুমুল প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কেবল রাজধানীতেই ২ হাজার ৮২২ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এদিন গণভবনে আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে আন্দলনের নেপথ্যে জামায়াত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপক ভিত্তিক প্রমান পায় তারা। কৌশল হিসেবে বৈঠকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে নিষিদ্ধের পরে মাঠে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি জামায়াত-শিবির।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে খাওয়ার ছবি শেয়ার করাসহ ছয় কোটা সংগঠককে উপস্থাপন করা নিয়ে ডিবিকে তিরস্কার করে হাইকোর্ট।
সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশ’ ব্যানারে ছাত্র হয়রানি ও গণগ্রেফতার বন্ধের আহ্বান জানান। তারা আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানান এবং চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে এক মুহূর্ত নীরবতা পালন করা হয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে ৩০ জুলাই শোকদিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সরকার ঘোষিত শোকদিবস প্রত্যাখ্যান করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এদিকে সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে রাজপথে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষকদের একটি বড় অংশের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নেমে আসে। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জন্য পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান।
জেড নিউজ, ঢাকা।