জুলাই গণহত্যার সময় গুলিবিদ্ধ, আহত ও পঙ্গু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানুষদের প্রতি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আচরণ ছিল ‘নিষ্ঠুর, অমানবিক ও প্রতিহিংসামূলক । সে সময় আহতদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার পাশাপাশি শেখ হাসিনা তাদের ওপর ‘থুতু ছিটিয়েছিলেন।
মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ।তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যারা বেঁচে ছিলেন তাদের অনেকেই পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে সময় হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন তৎকালিন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা। সেখানে সমস্ত মিডিয়ার প্রবেশ বন্ধ করে ভেতরে ঢুকে আর্তনাদ করা অসুস্থ, পঙ্গু, গুলিবিদ্ধ মানুষের ওপরে থুতু ছিটিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
তিনি দাবি করেন, চিকিৎসাসেবা বন্ধের এই আদেশ ও আচরণের প্রত্যক্ষদর্শী ডাক্তার ও নার্সরা আজও জীবিত এবং তারা সাক্ষ্য দিতেও প্রস্তুত। তাঁর মতে, এটি শুধু মানবতা ও চিকিৎসাসেবার ওপর আঘাত নয়, বরং সরাসরি যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানে করা হচ্ছে। শহীদদের আত্মত্যাগ যেন কলঙ্কিত না হয়, সে বিষয়ে সরকার সচেতন এবং দায়বদ্ধ ।
জেড নিউজ ,ঢাকা ।