এক সময়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ভাতের হোটেল খ্যাত সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর-রশীদ ওরফে হাউন আঙ্কেলের এবার আরো এক নতুন নাম প্রকাশ পেলো। যে নাম দিয়েছিল তৎকালীন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দক্ষ ছিলেন বলে ডিবির সাবেক প্রধান হারুনকে ‘জ্বীন’নামে ডাকতেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। এবার এমন তথ্যই উঠে এসেছে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে।
মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দিতে মামুন জানান , রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বছরের জুলাই আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওই সময় প্রতিরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে গোপন বৈঠক হতো। ওইসব বৈঠকে উপস্থিত থাকতেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবির হারুন, র্যাবের মহাপরিচালকসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। আন্দোলন দমন ও বিরোধী নেতাদের থামাতে ভয়ভীতি দেখানো, আটকের পর মানসিক চাপে বিবৃতি নেওয়া—এসব সিদ্ধান্ত হতো ওই বৈঠকগুলোতেই ।
তিনি বলেন , হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন হারুন অর রশীদ। এই পরিকল্পনায় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই ছিল প্রধান চালিকা শক্তি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি তাকে মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বলেও তিনি দাবি করেন।
এসব কারণে সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনি হারুনকে খুব কর্মতৎপর এবং সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাজনৈতিকভাবে খুব কার্যকর মনে করতেন। যে কারনে হারুনকে জ্বীন নামে ডাকতেন তিনি।
জেড নিউজ , ঢাকা ।