২০১৬ সালের ১ জুলাই। রাত ৮ টার কিছু পরেই রাজধানীর গুলশান-২ এর হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়। গুলি চালিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে তারা হত্যা করে ৫ তরুন।
মধ্যপ্রাচ্যে তখন আইএস বা ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। সে কারনে বাংলাদেশেও ওই সংগঠনটির সদস্যরা হামলা করেছে এটি অনুমান হলেও ছিলো সত্যের কাছাকাছি।
হামলায় নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানিজ, একজন ভারতীয়, দুজন বাংলাদেশি, ও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিক ছিলেন। এছাড়া গোলাগুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন।বিপথগামী ওই তরুণদের আত্মঘাতী হামলা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহলে পরিচয় করিয়ে দেয় ভিন্নভাবে। আইএস ওই হামলার দায় শিকার করলেও কৌশলগত কারনে সরকার তা অস্বীকার করে জানায়, হামলা চালিয়েছে নব্য জেএমবি।
এরপর হাসিনার পুলিশ সারাদেশে ব্যাপক অভিযান চালায়। অনেক জঙ্গীকে আবিষ্কার করে তারা। দাঁড়ি-টুপিওয়ালা এমন অনেককে সরকার গুম করে যাদের আদৌ জঙ্গিবাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিলো না। তারপরও তাদের অনেককেই করা হয় হত্যা, বছরের পর বছর আটকে রাখা হয় আয়নাঘরে।
তবে চব্বিশে আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশের সেই কথিত জঙ্গিবাদের কারখানার খোঁজ মিলছে না। দুদিন পরপর মিডিয়াতে খবর আসছে না জঙ্গি নিধন অভিযানের।সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আসলেই দেশে জঙ্গিবাদ বলতে কিছু নেই। যা আছে সব ছিনতাইকারী। আর আওয়ামী লীগের আমলে জঙ্গি নিয়ে যা হয়েছে তার সবই ছিলো সাজানো নাটক।
জেড নিউজ,ঢাকা।