দেশ স্বাধীন হবার পর নানা চড়াই-উৎড়াই পাড়ি দিয়ে আজকের দিনে সমৃদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সরকার পরিবর্তন, আন্দোলন, বিক্ষোভ,গণ-অভ্যুত্থান, দুর্ভিক্ষ, করোনা মহামারীসহ সকল সংকটে কোনোদিন দেশের ৯০ শতাংশ আমদানি-রপ্তানির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস বন্ধ হয়নি। তবে নজিরবিহীনভাবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ কমিশনার কাস্টমস হাউজের সব কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ঢাকায় এনবিআর আন্দোলনে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
তিনি নিজ কক্ষে বসে থেকে সবকিছু তালা দিয়ে সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তার একক সিদ্ধান্তে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। সুতরাং কাস্টমস হাউজে তালা দেওয়া এমন একটি অপরাধ যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা অনুযায়ী নাশকতামূলক কর্ম হিসেবে বিবেচিত।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ, যা চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত, এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কাস্টমস হাউজ এবং দেশের মোট আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি এখান দিয়েই পরিচালিত হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ থেকে সরকার প্রতিবছর প্রায় ৭০,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। বন্দরের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫০,০০০ মেট্রিক টন পণ্য লোড/আনলোড হয়।
জনগণের উপর সরাসরি প্রভাব পরে এমন সিদ্ধান্ত স্বাধীনতার পর কোন সরকার এধরনের সিদ্ধান্ত না নিলেও এক কাস্টমস কমিশনার তা করার সাহস দেখিয়েছেন। তার এ ঔদ্ধ্যত্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেড নিউজ, ঢাকা।