রাজধানীর বসুন্ধরার পর উত্তরা ও কাঁটাবনে ‘নাশকতার’কৌশল শেখাতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া-সংক্রান্ত গোপন বৈঠকের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব বৈঠকে কারা উপস্থিত ছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
গত ১২ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা সোহেল রানা এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন শম্পাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে প্রশিক্ষণ দেয়ার গোপন বৈঠকে মেজর সাদিকুল হক সাদিকের অংশগ্রহণের বিষয় উঠে আসে। তাঁর নির্দেশেই তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংগঠিত করা হয় বলে জানান সোহেল ও শম্পা।
এদিকে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা-সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জুলাই ওই সেনা কর্মকর্তাকে তাঁর নিজ বাসস্থান রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয়া হয়। ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এতে বলা হয়, এ বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, সেনাবাহিনী একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, শৃঙ্খলাপরায়ণ এবং পেশাদার প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কোনো সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেড নিউজ, ঢাকা।