রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের বোঝাপড়া আর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় দেশ যখন স্থিতিশীলতার দিকে, তখনই বিষফোঁড়া হয়ে আসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন।
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ফেলে দিনের পর দিন রাস্তায় আন্দোলনের ফলে দেশের আর্থিক খাতে নেমে আসে স্থবিরতা। সরকারের পক্ষ থেকে নানা আশ্বাসের পরও তারা কাজে ফিরে যায়নি। শেষ পর্যন্ত তারা কমপ্লিট শাটডাউনের ডাক দেয়।
গত মে মাসে এনবিআর দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারির পরই এই আন্দোলন শুরু হয়।
সূত্র বলছে, এনবিআর বিভক্ত হলে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পাশাপাশি কাজে গতি বাড়বে। কমবে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা। যা মানতে পারছিলেন না দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারাই মূলত সামনে থেকে এই আন্দোলন চালিয়ে যান। এরসঙ্গে যুক্ত হয় আওয়ামী ইন্ধন। মূলত, আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই এর পেছনে ইন্ধন দেয়।
এদিকে শুরু থেকেই আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলো সরকার। এমনকী আগামীকাল মঙ্গলবারও একটি বৈঠক পূর্ব নির্ধারিত ছিলো। কিন্তু আন্দোলনকারীদের একগুয়েমির কারনে শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে যায় সরকার।এনবিআররের চাকরি অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা-এমন ঘোষনা দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের কঠোর বার্তা দেয়া হওয়া সরকারের পক্ষ থেকে। এরপরই লেজগুটিয়ে গর্তে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা।
এদিকে এনবিআরের আন্দোলন দমাতে কঠোর অবস্থায় যাওয়ায় সরকারের প্রশংসা করছে ব্যবসায়িরাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ।
জেড নিউজ, ঢাকা।