বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক স্বৈরাচারের নাম শেখ হাসিনা। অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর এক অভুতপূর্ব অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তিনি। প্রথমে মানবিক কারনে তাকে আশ্রয় দিলেও ধীরে ধীরে ভারতের জন্য এটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকটা গলার কাঁটার মতো, না পারছে গিলতে, না পারছে ফেলে দিতে।
ভারতীয়রা বলছেন, শেখ হাসিনার উপস্থিতি এখন বোঝা ছাড়া আর কিছুই না। তাদের মতে, বাংলাদেশীরা যাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে, তাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত কেবল বাংলাদেশীদের কাছে নেতিবাচক বার্তাই পাঠাচ্ছে।
অনেকেই আবার বলছেন, ভারত যদি সত্যিই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হয় তবে, প্রথমেই শেখ হাসিনাকে দেশে পাঠানো উচিৎ। গরীব, শ্রমজীবি খেটে খাওয়া মানুষদের ঠেলে পাঠানো হচ্ছে, কিন্তু পালিয়ে আসা প্রধানমন্ত্রীকে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে, এটিকে তারা দ্বিচারিতা বলে মনে করছেন।
এজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একজন বিতর্কিত নেত্রীকে আশ্রয় দেয়ায়, এটি ভারতের ভাবমুর্তিতে আঘাত আনছে। ভারতের উচিৎ শেখ হাসিনা নয় বরং বাংলাদেশের জনগনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক বজায় রাখা।
জেড নিউজ, ঢাকা।