Monday, September 8, 2025
More
    Homeমতামতশেখ হাসিনাকে ফেরত দাও দিল্লি

    শেখ হাসিনাকে ফেরত দাও দিল্লি

    হাসিনা এখন দিল্লিতে আশ্রিত—এ দৃশ্য বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে নিছক সফর নয়, এক বেদনাদায়ক সত্যের প্রতীক। যেন প্রমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার ক্ষমতার শেকড় মাটির গভীরে নয়, বরং ভারতের করুণার ওপর ঝুলে আছে। যে নেত্রীকে কারচুপি, দমননীতি, বন্দিশালা আর রক্তাক্ত দমনপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তিনি আজ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের রাজধানীতে বসে আছেন। জনগণের চোখে এটি কেবল কূটনীতি নয়, এক নির্মম নাটক—যেখানে বার্তাটি পরিষ্কার: তিনি ঢাকা নয়, দিল্লির ছায়ায় শক্তি খোঁজেন।

    ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল সেই নাটকের প্রথম অঙ্ক। হাজার হাজার বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হলো, খালেদা জিয়াকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হলো। জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হলো দিনের আলোয়। অথচ ভারত এক নিমিষে অভিনন্দন জানিয়ে দিল। মানুষের মনে তখন একটাই প্রশ্ন জাগল—যে দেশ স্বাধীনতার যুদ্ধে রক্ত-ঘামে পাশে ছিল, আজ কি সেই দেশই গণতন্ত্র হত্যার পৃষ্ঠপোষক?

    হাসিনা সরকার ভারতের সঙ্গে যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও নদীপথের চুক্তি করেছিল, সেগুলো জনগণের চোখে উন্নতি নয়, আত্মসমর্পণের দলিল। আর যখন ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে কণ্ঠরোধ শুরু হলো, তখন ভারতীয় নীরবতা আরও শীতল ও ভীতিকর হয়ে উঠল। সাংবাদিক, ছাত্র, লেখক—যে কেউ প্রতিবাদ করলে কারাগারে। জাতিসংঘ চিৎকার করে বলল এটি নিছক মতপ্রকাশ দমনের হাতিয়ার। অথচ দিল্লি নিশ্চুপ! সেই নীরবতা যেন ঢাকায় চলমান নিপীড়নের সহায়ক হয়ে দাঁড়াল।

    সবচেয়ে করুণ প্রতীক ছিল দিল্লিতে হাসিনার অভ্যর্থনা। তাকে স্বাগত জানালেন অজিত ডোভাল—ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা, যিনি গোটা অঞ্চলের গোপন খেলায় পরিচিত নাম। বাংলাদেশের মানুষের চোখে এটি ছিল আরেকটি আঘাত। হাসিনা যেন আর বাংলাদেশের নেত্রী নন, বরং ভারতের গোয়েন্দা যন্ত্রের প্রতিনিধি।

    আজ রাস্তায় মানুষের কণ্ঠ গর্জে উঠছে। তারা আর কোনো অজুহাত মানছে না। তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে চায়—বন্দি রাজনীতিবিদদের জন্য, ভুয়া নির্বাচনের জন্য, রক্তাক্ত রাস্তাঘাটের জন্য, সংবাদপত্রের কালো অধ্যায়ের জন্য। তারা চায় তিনি আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ান, বিদেশি পতাকার ছায়ায় নয়, বাংলাদেশের মাটিতেই জবাব দিন।

    জনগণের ক্ষোভ আসলে এক দাহ্য আগুন—এটি শুধু রাজনীতির প্রশ্ন নয়, জাতীয় আত্মমর্যাদার লড়াই। তারা বলে দিচ্ছে: আমরা চাই না সীমান্ত পেরোনো কোনো পলায়নপর নেত্রী। আমরা চাই জবাবদিহি, চাই ন্যায়বিচার, চাই গণতন্ত্র পুনর্দখল। আর এই লড়াই থামবে না যতক্ষণ না সেই দিন আসে, যেদিন নেত্রী নয়, জনগণ হবে প্রকৃত ক্ষমতার মালিক।

    সর্বশেষ

    সালমান শাহ্ স্মরণে গাইবেন আগুন

    ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সবাইকে বিস্মিত করে না ফেরার...

    শেখ হাসিনা এখন ভারতীয়দের গলার কাঁটা

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক স্বৈরাচারের নাম শেখ হাসিনা। অবৈধভাবে...

    ব্রিটিশ নাগরিকত্বের আড়ালে টিউলিপের বাণিজ্য

    ব্রিটিশ নাগরিকত্বের আড়ালে বাংলাদেশে বাণিজ্য করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি...

    মোদি চোর, বিজেপি চোর, অমিত শাহ চোর: বিধানসভায় মমতা

    মোদি চোর, অমিত শাহ চোর, বিজেপি চোর- বিধানসভায় দাঁড়িয়ে...

    আরও সংবাদ

    সালমান শাহ্ স্মরণে গাইবেন আগুন

    ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সবাইকে বিস্মিত করে না ফেরার...

    শেখ হাসিনা এখন ভারতীয়দের গলার কাঁটা

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক স্বৈরাচারের নাম শেখ হাসিনা। অবৈধভাবে...

    ব্রিটিশ নাগরিকত্বের আড়ালে টিউলিপের বাণিজ্য

    ব্রিটিশ নাগরিকত্বের আড়ালে বাংলাদেশে বাণিজ্য করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি...