পুরো নাম আহম মুস্তফা কামাল। সবাই তাঁকে ডাকে লোটাস কামাল বলে। কিন্তু এই লোটাস সৌন্দর্য ছড়ায় না, ছড়ায় দুর্নীতি, দুর্গন্ধ। এই পদ্ম মানুষকে আনন্দ দেয় না, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করে। এই পদ্মে চোখ জুড়ায় না, আতঙ্ক ছড়ায়।
লোটাস কামাল শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক স্বীকৃত লুটেরা। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে তিনি পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন, পরে অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে পাঁচ বছরে মাত্র ৭২ দিন অফিস করে অনন্য রেকর্ড করেছেন। বলা হতো তাঁর ‘ডিমেনসিয়া’ হয়েছে। অর্থাৎ নিকট অতীতের সব কিছু ভুলে যেতেন। সবকিছু ভুলে গেলেও ‘টাকা’ ভুলে যাননি। ভুলে যাননি ‘দুর্নীতি’। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি থেকে ব্যাংক লুট, জনশক্তি রপ্তানিতে প্রতারণা থেকে টেন্ডার জালিয়াতি—সব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সাবেক এই অর্থমন্ত্রী!
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশের অর্থনীতির যাঁরা বারোটা বাজিয়েছেন তাঁদের অন্যতম হলেন লোটাস কামাল। লুটের টাকায় সপরিবারে অবস্থান করছেন দুবাইয়ে। তবে মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, কাতার ও সৌদি আরব এবং দুটি দ্বীপ রাষ্ট্রে রয়েছে তাঁর বিপুল সম্পদ। কিন্তু এই লুটেরা এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দুবাইয়ে অন্তত ১৮টি নিবন্ধিত কম্পানি রয়েছে লোটাস কামাল এবং তাঁর পরিবারের। এছাড়াও প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়েছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বিষয়ে তদন্তে জানা গেছে, লোটাস কামাল তাঁর আসল নাম আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল ব্যবহার করে দেশটির পাসপোর্ট নিয়েছেন।
জেড নিউজ, ঢাকা।