চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসার পরই রোহিঙ্গা ইস্যুতে নজর দেয় ইউনূস সরকার। বিশেষ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর চীনে প্রথম তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কট এবং তাদের প্রত্যাবাসের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহায়তার বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর তিনি যেখানেই কথা বলেছেন সেখানেই প্রাধান্য পেয়েছে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রোহিঙ্গা ইস্যু।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘরে কিংবা বাইরে যে কোনো আলোনায় রোহিঙ্গাদের টেনে আনার উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সরে যাওয়া নজর ফের ফিরিয়ে আনা শরণার্থী শিবিরগুলোর দিকে। যাতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। সহজ হয় নিজ দেশে তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ড. ইউনূসের এমন নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টায় অবশ্যই ফলও মিলছে। ফের বৈশ্বিক আলোচনার ফিরেছে রোহিঙ্গা সঙ্কট ইস্যুটি। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা আর উন্নত বিশ্ব এখন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে শিগগিরই এ নিয়ে সুখবর আসতে পারে বলে মনে করছেন অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে, রোহিঙ্গা আগমনের অষ্টম বার্ষিকী উপলক্ষে। আর দ্বিতীয় সম্মেলনটি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইড লাইনে এবং চলতি বছরের শেষ দিকে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় সম্মেলনটি।
এই সম্মেলনগুলো থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত কিংবা সুযোগ আসতে পারে বলে মনে করছে সরকার।
জেড নিউজ, ঢাকা।