গত কয়েকদিনে এনবিআরের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। একই সময়ে ৬ কর্মকর্তাকে বদলি এবং ৫ কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে এনবিআর। এসব ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এনবিআরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে।
আন্দোলনই যেন এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য। একসময় বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে যারা দর কষাকষি করতেন, এখন তারা দিন কাটাচ্ছেন বহিষ্কার আর দুদক আতঙ্কে। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর এখন তাদের বোধোদয় হয়েছে- আন্দোলন করা ভুল ছিল। এরই মধ্যে কেউ কেউ ‘গণক্ষমা’চাওয়ার বিষয়ও ভাবছেন।
কেউ কেউ বলছেন, এনবিআর বিলুপ্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনে জড়িয়ে কঠিন শাস্তির মুখে পড়েছেন তারা। চাকরি বাঁচাতে এরই মধ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কয়েকজন। কেউ আবার যোগাযোগ করছেন চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে। অধিকাংশ কর্মকর্তাই আন্দোলনকে ভুল আখ্যা দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তবে দুদক বলছে, যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে করদাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব কর্মকর্তার কারণে প্রতিবছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে- এমন অভিযোগও আনা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিককে হয়রানি করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।