হাসিনা সরকারের পতনে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পরিণতিতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। দুদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যর ৩০ শতাংশ হতো বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে। কিন্তু স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় সব ধরনের পণ্য আমদানির উপর ভারত সরকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ফলে আমদানী রপ্তানী বানিজ্য মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
ফলে, বন্দরগুলোতে নেই আগের সেই ব্যস্ততা। শ্রমিক থেকে দোকানদার, মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রগুলোতে নেই কোনও কাজ। সীমান্ত বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচলের উপর নির্ভরশীল লক্ষাধিক মানুষ রুজি হারিয়ে প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছন। অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ঘরে বসে রয়েছেন।
ভারতের পেট্রাপোলের স্থানীয় ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা জানান, পেট্রাপোল থেকে একসময় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২শ-২৫০টি রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও বর্তমানে এ সংখ্যা কমে ৩০-৪০টিতে দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রায় ৯০ শতাংশ শ্রমিকই নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন না। এতে পরিস্থিতি দিনদিন সংকটজনক হয়ে উঠছে।
সংকট থেকে মুক্তি পেতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পেট্রাপোল বন্দরের বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার ভারতীয় শ্রমিক। তাদের অভিযোগ, ভারত সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধ তাদের মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। সরকার এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড পেট্রাপোল বন্দরকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
জেড নিউজ, ঢাকা।