কোনোরকম আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়াই হাজারো বাংলাভাষী মুসলমানকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দিচ্ছে ভারত। আটক অবস্থায় তাদের অনেকের ওপর নিপীড়নও চালানো হচ্ছে। অথচ, বাংলাদেশে পুশইন করা এই মুসলমানদের অনেকেই ভারতীয় নাগরিক। গত কয়েক মাস ধরে এমন বিভিন্ন প্রতিবেদন সামনে আসার পর এবার ভারত সরকারকে রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, শনিবার এক্স-এ ধারাবাহিক একাধিক পোস্টে ওয়াইসি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই সরকার শক্তের সামনে দুর্বল, আর দুর্বলের কাছে শক্ত। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাভাষী মুসলিমদের ‘বাংলাদেশি’তকমা দিয়ে বেআইনিভাবে আটক করা হচ্ছে। অথচ এদের অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক।
তিনি বলেন, এই মানুষগুলো নির্মাণ শ্রমিক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী বা রাস্তার আবর্জনা সংগ্রহের কাজে যুক্ত। দরিদ্র হওয়ায় তারা পুলিশের অন্যায় বা প্রশাসনিক হয়রানির বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাতে অক্ষম। সেই অসহায়তাকেই কাজে লাগিয়ে চলছে প্রশাসনিক নিপীড়ন।’
ওয়াইসি গুরুগ্রামের জেলা শাসকের একটি নির্দেশনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে এসওপি অনুসরণের কথা বলা হয়েছে, যা ভাষাভিত্তিক গ্রেপ্তারকে উৎসাহিত করছে। তিনি বলেন, শুধু বাংলা ভাষায় কথা বললেই কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না। ভাষা কোনো অপরাধ নয়। ভাষার ভিত্তিতে গ্রেফতার সম্পূর্ণ বেআইনি।
ওয়াইসির প্রশ্ন, ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার দোহাই দিয়ে কীভাবে হাজার হাজার বাংলাভাষী মুসলিমকে অবৈধ বলে চিহ্নিত করা যায়?’ তার ভাষায়, এটি নৈতিকভাবে সম্পূর্ণ ভুল। ভারতীয় নাগরিক কাউকে বন্দুক দেখিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
জেড নিউজ , ঢাকা ।