দেশে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিকে কোনঠাসা করতেই হাসিনার আমলে হাজির করা হয় মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রসঙ্গ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তাতে বিএনপি-জামায়াতে বেশ কিছু সিনিয়র নেতার ফাঁসি কার্যকরও করে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে নানা কারনে শুরু থেকেই এই বিচার প্রক্রিয়া ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ।
এবার সেই মামলায় খালাস পেয়েছেন মো. মোবারক হোসেন নামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক ব্যক্তি। ২০১২ সাল পর্যন্ত মোবারক হোসেন ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে একাত্তরে তার জামায়াত সংশ্লিষ্টতার কারনে এই মামলায় জড়ানো হয়।
চব্বিশের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সাক্ষী ও তথ্য প্রমানের দুর্বলতার কারনে জামায়াতের এক শীর্ষ নেতাসহ অনেকেই ছাড়া পান। এবার সেই সারিতে যোগ হলেন এই আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেনও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতার মুক্তি হাসিনার পাতানো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আরো একবার প্রশ্নবিদ্ধ করলো। সেই সঙ্গে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের আমলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকেও করলো প্রতিষ্ঠিত।
জেড নিউজ, ঢাকা।