অফিসের কার্যক্রম ৪০ দিন বন্ধ, কর্মকর্তাদের অনেকে তখন একদিনও অফিস করেননি। অথচ প্রত্যেকেই গাড়ীর তেল খরচ দেখিয়েছেন দৈনিক ১৫ লিটার । আর এভাবে হরিলুট হয়েছে কোটি টাকা। এই ঘটনা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের।গত মে-জুন মাসে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে ৪০ দিন ধরে আন্দোলন হয়। সেসময় নগর ভবনের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও খরচ হয় স্বাভাবিক সময়ের সমান তেল।
দক্ষিণ সিটির পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, আন্দোলনের ৪০ দিনে ৬০০ লিটার জ্বালানি ব্যবহার করেছেন। অথচ এই ওই পুরো সময় তিনি নগর ভবনে আসেননি। এমনকি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি অফিসেও অনিয়মিত।
ডিএসসিসি’র প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মোবাশ্বের হাসানেরও একই চিত্র। তিনি ওই সময়ে ৫৬০ লিটার তেল নিয়েছেন। আর প্রশাসকের গাড়িতে বরাদ্দ ৮৫৫ লিটার তেল।
সংস্থায় গাড়ি মোট ৬১০টি। এসব গাড়িতে প্রতি মাসে জ্বালানি বাবদ খরচ হয় প্রায় ৫ কোটি টাকা। যা বছরে দাঁড়ায় ৬০ কোটিতে। অনেকে বলছেন, জ্বালানির এই ব্যবহার অনেকটাই কাগজে-কলমে। যা সরাসরি দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়।
জেড নিউজ, ঢাকা।