আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দিন নাছিম এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শেখরের নির্দেশে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে। এবার তাদের টার্গেট বড় ধরনের হামলা চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কীভাবে ঘটাবে, ঘটনার পর কীভাবে পালাবে, শেখ হাসিনাকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনবে, জনসমাগম কোথায় ঘটাবের প্রভৃতি বিষয় নিয়ে এরই মধ্যে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে কাযক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে ওই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়। সেখানে অংশ নেন ৪০০ নেতাকর্মী।
পরিকল্পনায় যুক্ত শম্পা, সোহেল রানাসহ ঢাকা থেকে ইতিমধ্যে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্র জানায়, জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের আড়ালে কনভেনশন হল ভাড়া নেন শম্পা। এসময় বলা হয়, তারা বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি করবেন। এজন্য কিছু লোককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড হলেন সোহেল রানা। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় রাজধানীর ভাটারা থানায়।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান, ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট এর মধ্যে হামলার পরিকল্পনা ছিলো তাদের। নাশকতা রোধে পুলিশের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির অপতৎপরতার পরিকল্পনা তারা জেনেছেন। সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। মূল হোতাসহ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।