পুষ্টিবিদ আর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে আম খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের কোনো বিপদ হবে না।
গ্রীষ্মকালে পাওয়া যাবে নানা রকমের আম। হিমসাগর, ফজলি, ল্যাংড়া। কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান অনেকেই। আর ডায়াবিটিস রোগীরা তো ভয়ে থাকেন, আম খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাবে।
স্বাদ, গন্ধের পাশাপাশি আম কিন্তু একটি পুষ্টিকর ফলও। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, জিংক, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, শর্করা ও ক্যালোরি। আর প্রচুর পরিমাণে শর্করা মানে চিনি থাকার ফলেই ডায়াবেটিসের রোগীরা পাকা আম খাওয়া থেকে দূরে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু নিয়ম মেনে আম খেলে কোনো বিপদ হবে না।
ঠিক কি কি নিয়ম মেনে ডায়াবেটিসের রোগীরা পছন্দের এই ফল খাবেন জেনে নিন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, একটা বড় আম একবারে পুরোটা না খেয়ে কয়েকবারে খেতে। সম্ভব হলে তা সকাল ও বিকালে ভাগ করে খেতে হবে। এতে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। শুধু ডায়াবিটিসের রোগীরাই নন প্রত্যেকেই এইভাবে আম খাওয়ার অভ্যাস করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি ও ওজন বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা যাবে।
তবে এসব নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি শরীরের সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে চলবেন। অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা মেপে দেখবেন নিয়ম করে।
রাতের খাবার খাওয়ার পর সাধারণত আমরা আম খেয়ে থাকি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতের খাবারের সঙ্গে আম খাওয়া যাবে না একেবারেই। একই সঙ্গে যেকোনো ভারী খাবারের সঙ্গেও আম খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ পাকা আমে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি।
আম খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকালের খাবার আর রাতের খাবরের মাঝামাঝি সময়। বিশেষত সকালের খাবারের সময় আম খেতে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা।
আম কেটে ফল হিসেবেই খেলে তাতে শরীরের উপকার হয় বেশি। আমের জুস, পুডিং ইত্যাদি বানিয়ে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলেই বলছেন চিকিৎসকরা।
শশার সঙ্গে আম খেলে তাতে গ্লুকোজ নিঃসরণ হয় ধীরগতিতে। আর এভাবে আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা চট করে বাড়বে না।