রাজধানীর খিলক্ষেতে রেলওয়ের জমিতে টানানো একটি মন্দিরের সাইনবোর্ড অপসারণের দাবির ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও দেশি বিদেশি কিছু মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। উস্কানিমূলক এসব অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, খিলক্ষেতে মন্দির অপসারণে মুসল্লিদের আল্টিমেটাম, সমাধানের চেষ্টায় থানা পুলিশ”।কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে এখানে কোনো মন্দিরই নেই। রেলওয়ের ওই জায়গাটি দখল করার লক্ষ্যে টিনশেট-এর একটি ঘরে মন্দিরের সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। সোমবার এটিতে পাকা দেওয়াল তুলতে গেলে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশিকুর রহমান বলেন, খিলক্ষেতের অস্থায়ী মন্দির সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এসে একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই অনেক কিছু বলে। তবে পুরো বিষয়টি আমরা দেখছি, যাতে করে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।
খিলক্ষেত থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, রেলের জায়গাতে মন্দির ছিল। এতদিন টিনের বেড়া ছিল। সোমবার মন্দির কর্তৃপক্ষ পাকা দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। এতে উত্তেজনা দেখা দিলে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার সকালে সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা এলাকাবাসী ও মন্দির কমিটির সঙ্গে আমরা আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা করেছেন। উভয়পক্ষ জানিয়েছে এ বিষয়ে আর কোনও ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না। একইভাবে মন্দির থাকা না থাকার বিষয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক হয়েছে। মন্দির থাকা না থাকার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষ দেখবে।
জেড নিউজ, ঢাকা।