মালদার চাঁচলের অভিবাসী শ্রমিক মুক্তার খান ও তার পরিবারকে শুক্রবার ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’সন্দেহে দিল্লি পুলিশ মারধর করে। এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তাদের আটক করে।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাত প্রায় ৯টার দিকে দিল্লি পুলিশের একটি দল গীতা কলোনির ভাড়া বাড়ি থেকে মুক্তার, তার স্ত্রী সাজেনুর বিবি, তাদের তিন সন্তান (বয়স সাত থেকে দেড় বছর) এবং মুক্তারের বৃদ্ধ মা-বাবাকে তুলে নিয়ে যায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টেলিগ্রাফ।
মুক্তারের বোন মুক্তারি খাতুন মালদার পিরোজাবাদে থাকেন। তিনি এ ঘটনায় চাঁচল থানায় দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, তার ভাই ও ভাবি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে কাজ করছেন। দুই মাস আগে তারা তিন সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে মালদা থেকে দিল্লিতে ফেরেন। শুক্রবার রাতে দিল্লি পুলিশ তাদের ভাড়া বাড়িতে হানা দিয়ে বলে তারা ভারতে ‘অবৈধভাবে’ বসবাস করেছেন। মুক্তারি বলেন, তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকি দেড় বছরের শিশুকেও ছেড়ে দেয়নি। ভয়ে ভাই-ভাবি সন্তানদের নিয়ে পার্কে আশ্রয় নেন।
রোববার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক ভিডিওসহ এক্সে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন- ‘দেখুন, দিল্লি পুলিশ কীভাবে মালদার চাঁচলের অভিবাসী পরিবারের এক শিশু ও তার মাকে নৃশংসভাবে মারছে। বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে বিজেপির ভাষাগত সন্ত্রাসে এমনকি শিশুরাও রক্ষা পাচ্ছে না! দেশকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?’ এর পরপরই রাত ৯টার দিকে দিল্লি পুলিশ ফের মুক্তার ও তার পরিবারকে তুলে নিয়ে যায় বলে মুক্তারি অভিযোগ করেন। চাঁচল তৃণমূল বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ নিশ্চিত করেছেন যে, মুক্তার ও তার পরিবার ভারতীয় নাগরিক। তিনি ঘটনাটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য অপমান’বলে উল্লেখ করেন। মালদা পুলিশ জানিয়েছে, দায়ের হওয়া এফআইআর-এর ভিত্তিতে তারা দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
জেড নিউজ, ঢাকা।