১০৯৯: প্রথম ক্রুসেড (১০৯৬–১০৯৯) ছিল পোপ আরবান দ্বিতীয়ের আহ্বানে শুরু হওয়া এক সামরিক ধর্মযুদ্ধ, যার লক্ষ্য ছিল মুসলিমদের কাছ থেকে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করা। ১০৯৯ সালের ৮ জুলাই প্রথম ক্রুসেডের অংশ হিসেবে খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা জেরুজালেম শহরের চারপাশ ঘিরে একটি বিশাল ধর্মীয় শোভাযাত্রা শুরু করেছিল।
১৪৯৭:পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে অভিযাত্রী ভাস্কো দা গামা ১৪৯৭ সালের ৮ জুলাই ভারত অভিমুখে তার ঐতিহাসিক সমুদ্র যাত্রা শুরু করেন। তার নেতৃত্বে চারটি জাহাজবিশিষ্ট একটি বহর বেরিয়ে পড়ে, যার উদ্দেশ্য ছিল আফ্রিকার চারপাশ ঘুরে সমুদ্রপথে ভারত পৌঁছানো, তখনকার জন্য সম্পূর্ণ নতুন ও বিপজ্জনক এক উদ্যোগ। পরে, ২০ মে ১৪৯৮ সালে, ভাস্কো দা গামা অবশেষে ভারতের কেরালার কালিকটে (বর্তমানে কোঝিকোড়) পৌঁছান।
এটি ছিল ইউরোপ থেকে সরাসরি সমুদ্রপথে ভারত পৌঁছানোর প্রথম সফল অভিযান, যা পরবর্তীতে পর্তুগিজ উপনিবেশবাদ, ইউরোপীয় শোষণ ও ভারতীয় বাণিজ্য-ব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। ভাস্কো দা গামার পথ ধরেই ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করে।
১৮৫৩: সে সময় জাপান ছিল ‘সাকোকু’ নামের এক দীর্ঘকালীন নীতিতে আবদ্ধ যার অর্থ ছিল সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা। ১৮৫৩ সালের ৮ জুলাই মার্কিন নৌবাহিনীর কমোডর ম্যাথিউ পেরি চারটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে জাপানের এডো বে (বর্তমান টোকিও বে)-তে পৌঁছান। পেরি জাপান সরকারের (শোগুনদের) কাছে একটি পত্র দেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে, যেখানে জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়। পেরি জানিয়ে দেন, যদি জাপান রাজি না হয়, তাহলে বলপ্রয়োগ করা হবে। ১৮৫৪ সালে, ‘কানাগাওয়া চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে জাপান প্রথমবারের মতো বাইরের বিশ্বের জন্য বন্দর খুলে দেয়। এটি জাপানের শতবর্ষব্যাপী বিচ্ছিন্নতা নীতির অবসান ঘটায় এবং আধুনিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের সূচনা করে।
১৮৮৯: চার্লস ডাউ, এডওয়ার্ড জোনস এবং চার্লস বার্গস্ট্রেসারের মালিকানায় ১৮৮৯ সালের ৮ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর থেকে ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এর প্রকাশক সংস্থা ছিল ডউ জোন্স অ্যান্ড
কোম্পানি। মূল্য ছিল এক কপি ছিল মাত্র দুই সেন্ট।
২০১১: নাসার স্পেস শাটল ‘আটলান্টিস’ ২০১১ সালের ৮ জুলাই মহাকাশের উদ্দেশ্যে তার শেষ যাত্রায় রওনা দেয়। এটি ছিল স্পেস শাটল প্রোগ্রামের চূড়ান্ত অভিযান, যার নাম ছিল এসটিএস-১৩৫। এই মিশনের মাধ্যমে তিন দশকের দীর্ঘ শাটল যুগের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ৪ জন নভোচারী যথাক্রমে : কমান্ডার ক্রিস ফারগুসন, ডগ হারলি, স্যান্ডি ম্যাগনাস, রেক্স ওয়ালহেইমকে যাত্রা শুরু করে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রসদ ও যন্ত্রপাতি পৌঁছে দেওয়ার পর ২১ জুলাই ফিরে আসে। ‘আটলান্টিস’ শাটলটির এই শেষ মিশন ছিল মহাকাশ অভিযানের এক যুগের সমাপ্তি এবং নতুন যুগের সূচনা। এরপর নাসা বেসরকারি অংশীদারদের সহযোগিতায় মহাকাশ গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।