শেখ পরিবারের সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাসিনার স্নেহধন্য শেখ ফজলে নুর তাপসের প্রভাব ছিলো সব জায়গায়। ফুপু হাসিনার প্রশ্রয়ে তিনি হয়ে ওঠেছিলেন মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রক। শুধু দুর্নীতির মধ্যেই তাঁর অন্ধকার জগৎ সীমাবদ্ধ রাখেননি। একসময় হয়ে ওঠেছিলেন দেশের আন্ডারওয়ার্ল্ডের গডফাদার।
আইন পেশার আড়ালে তাপস জামিন বাণিজ্য করতেন। আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা সবাই তাপসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। এ যোগাযোগের সূত্র ধরে আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
একসময় এ আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন তাঁর চাচা শেখ ফজলুল করিম সেলিম। কিন্তু তাপস ঢাকার মেয়র হওয়ার পর ধীরে ধীরে চাচা শেখ সেলিমকে হটিয়ে হয়ে ওঠেন অপরাধীদের গডফাদার। এ মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তিনি হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জন করে বিদেশে পাচার করেছেন।
তাপসের ল চেম্বারের ফাইল অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল, জিসান ওরফে চিটার জিসান, সুব্রত বাইন, বিকাশ, প্রকাশ, কিলার আব্বাস, তাজ, ফ্রিডম, টিটন, মোল্লা মাসুদ- এদের প্রত্যেকের আইনজীবী হিসেবে ছিল শেখ তাপসের ফার্ম। জামিন বানিজ্যের মাধ্যমে ঢাকা শহরে অপরাধীদের গডফাদারে পরিণত হয়েছিলেন তাপস।
এছাড়া, ২০১৯ সালে ক্যাসিনো অভিযানে সম্রাট, খালেদসহ আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করে ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন তিনি। এর নেপথ্যে ছিলো শেখ সেলিমের হাত থেকে মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দ্বন্দ্ব।
জেড নিউজ, ঢাকা।