ভারতের বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ আদানিকে ৯০০ একর জমি দিয়েছিলো পতিত শেখ হাসিনার সরকার। চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকায় অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে সংযোগকারী জমিটি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলায় যাতায়াতের জন্য চিকেন নেক হিসেবে পরিচিতি। এই জমি বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থেও জড়িত। জমির বিষয়ে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের জন্য ঢাকা আট মাস আগে চিঠি দিলেও দিল্লী কোনো জবাব দেয়নি। এ নিয়ে বিপাকে অন্তর্বর্তী সরকার।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজা বলছে, ২০১৫ সালে মোদি ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার প্রস্তাব পেশ করে। শেখ হাসিনা তাতে সম্মতি দেয়। রামপালে ৩০০ একর জমি দেয় হাসিনা। ভারত প্রথমে রামপালের ৩০০ একর জমি বুঝে নিলেও পরবর্তীতে বেঁকে বসে। দাবি করে মিরসরাইয়ে এক হাজার ৫৫ একর জমি। যা তারা নিজেরাই চিহ্নিত করে।
২০১৭ সালে শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন। ওই সময় আদানি গ্রুপকে হাসিনা ৯০০ একর জমি দিতে সম্মতি দেন। যার বেশরিভাগই কৃষিজমি।
২০১৯ সালে ওই জমিতে বন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আদানি সঙ্গে বেজা একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এতে ভারতীয় এলওসির আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ৬৫ শতাংশ যন্ত্রাংশ ভারত থেকে ক্রয় করার কথা বলা হয়। অথচ ভারতকে দেয়া ৯০০ একর জমির কোনো দাম নির্ধারণ করা হয় না
আদানির এ প্রকল্প থেকে ভারতের ত্রিপুরার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। এজন্য অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। জানান, ভারত সেখানে কী কাজ করবে তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন কিংবা তদারকি করার সুযোগ রাখা হয়নি? এ প্রকল্প ঘিরে ভারত বঙ্গোপসাগরে একটি জেটিও স্থাপন করে তাদের পণ্য আনা-নেয়ার জন্য।
গত বছর হাসিনার পলায়নের পর এ প্রকল্প ছেড়ে ভারতীয়রা চলে যায়। ৫ আগস্টের পর এলাকাবাসীকে নিয়ে বেজা কর্মকর্তারা সভা করেন। তারা জানান, ৭০০ একর জমি নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। এটি শুধু মৌখিক অঙ্গীকার ছিল। ফলে এটি এখন অবমুক্ত করা যাবে। এ বিষয়ে বেজা থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।