যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক কাযকর হওয়ায় ভারতের তৈরি পোশাক খাতে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। উচ্চ শুল্কের কারণে ইতিমধ্যেই মার্কিন ব্র্যান্ডগুলো তাদের ক্রয়াদেশ ভারত থেকে প্রত্যাহার করে বাংলাদেশি উৎপাদনকারীদের সাথে যোগাযোগ করছে। যাদের মধ্যে ওযালমার্ট, গ্যাপ, টার্গেটের মতো উল্লেখযোগ্য মার্কিন ব্র্র্যান্ডগুলো রয়েছে।
পাশাপাশি চীন, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকেও যেসব ক্রেতা পোশাক ক্রয় করত তারাও এখন বাংলাদেশকে কার্যাদেশের জন্য প্রাথমিকভাবে পছন্দ করছে। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রেতারা অর্ডার নিয়ে ঢাকায় আসছেন, ফলে তৈরি পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বেড়ে চলেছে।
বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, ইপিবি ও পোশাক রফতানির সঙ্গে যুক্ত শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, দেশের তৈরি পোশাক খাতে নতুন সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। চলতি আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিশ্ববাজারের ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশে নতুন রফতানি আদেশ দেয়ার প্রবল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে সেপ্টেম্বর থেকে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।
পোশাক খাতের সংশ্লিষ্টদের মতে, গত দুই মাসে আগের একই সময়ের তুলনায় ক্রয়াদেশ প্রায় ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই মোট রফতানি আয়ে ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে কেবল পোশাক খাত থেকেই রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯৬ কোটি ডলার, যা দেশের মোট রফতানির প্রায় ৮৩ শতাংশ।
জেড নিউজ, ঢাকা