দেশের টাকা লুট করে মার্কিন মুল্লুকে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তার নামে যুক্তরাষ্ট্রে দুইটি বাড়ি, ছয়টি কোম্পানি ও বিলাসবহুল আটটি গাড়ির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক। এসব সম্পদ জব্দে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
এছাড়া ১০টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধানও পেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থপাচার মামলার তদন্তে এসব সম্পদের তথ্য পাওয়া যায় বলে দুদকের দাবি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা থাকাকালে জয় তার পদবি ব্যবহার করে হুন্ডি ও অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করেছেন। এসব অর্থ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকার মূল্যের দুটি বাড়ি কিনেছেন, যা অবৈধ সম্পদ বলে অভিযোগ দুদকের।
দুদকের দাবি, ২০০০ থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে জয় এসব অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং পাচার করেছেন। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আয়ের উৎসের সব তথ্য আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক হলেও জয় তা করেননি, বরং বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের নামে আটটি বিলাসবহুল গাড়ির তথ্য পাওয়ার কথা দাবি করেছে দুদক। একেকটা গাড়ির আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বেশি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দুদক তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট ছয়টি মামলা করেছে। যেখানে হাসিনাসহ ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ১১ আগস্ট থেকে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট হাসিনা ও তার স্বজনদের ১২৪টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ছয় হাজার ৩৫০ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।