কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানের রোহিঙ্গারা ভুয়া তথ্য দেয়াসহ নানাভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র—এনআইডি বা নাগরিকত্বের সনদপত্র নিয়ে ‘বাংলাদেশি নাগরিক’বনে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে আবার পাসপোর্টও করছে। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ এসব কাণ্ডে যুক্ত রোহিঙ্গাদের গ্রেপ্তার করলেও সেই রোহিঙ্গারা জেল থেকে মুক্ত হয়ে আবারও জালিয়াতচক্রে যুক্ত হয়ে একই অপরাধে জড়াচ্ছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর বাসিন্দারা দলে দলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দালাল ধরে ইউনিয়ন পরিষদ অফিস থেকে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করছে। বিশেষ করে নাম, পিতা বা স্বামীর নামের মিল খুঁজেই তারা এসব সংগ্রহ করে।
সাতক্ষীরার কয়ারপাড়া থেকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের আবেদন নিয়ে হাজির হন দুই রোহিঙ্গা নারী। আবেদন যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেছে, জন্ম নিবন্ধনের দুটি কপিই সাতক্ষীরা এলাকার। পরে, তাদের আটক করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।
কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বলেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা ভুয়া তথ্য আর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ দেশের নাগরিকত্ব নিচ্ছে। গত ৮ মে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তিনি সংগঠনের পক্ষে ৯ জন রোহিঙ্গার ভুয়া এনআইডি সনদের তথ্যসহ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শত শত রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এসব শিক্ষার্থী এসএসসি, দাখিলসহ আরো উচ্চতর ডিগ্রির সনদপ্রাপ্তির পর সংগত কারণেই সরকারি চাকরিতেও অবাধে ঢুকে পড়ার সুযোগ পেয়ে যাবে।
জেড নিউজ, ঢাকা।