বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বৈরি আচরণে বরাবরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে যাচ্ছেন ভারতের বোদ্ধা শ্রেণি। এবার তাতে যোগ দিলেন দেশটির নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
কেবল বাংলা ভাষাভাষি হওয়ায় অনেক ভারতীয়কে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, তিনি নিজেও ঢাকা থেকে এসেছেন। তাকে যদি সেখানে পাঠানো হয় তবে খুব একটা অসুবিধা হবে না।
ভাষাগত কুসংস্কার থেকে শুরু করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, আমি সংবাদপত্রে পড়েছিলাম যে বাংলা বলার জন্য একজনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। আমি চিন্তিত ছিলাম।
তিনি বলেন, বাংলা সভ্যতার নানা গুণ আছে যেগুলো আমাদের মর্যাদা দিতে হবে। যেখানে তার উল্টোটা ঘটবে সেখানে বড় ভাবে প্রতিবাদ করতে হবে। সেনের কথায়, আমি বলছি না যে, ভারতে বাঙালি সভ্যতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাংলা ভাষা একাদশ শতাব্দী থেকেই বিদ্যমান।
মুসলিম শাসকরা কেবল হিন্দুদের উপর অত্যাচার করতো এই মিথকে ভুল দাবি করে তিনি বলেন, একে বরং বন্ধুত্ব ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষকতার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়। হিন্দু-মুসলিম ঐক্যে জোর দিয়ে তিনি বলেন, মুসলিম শাসকদের অধীনেই রামায়ণ ও মহাভারত সংস্কৃত থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছিল।
উপনিষদের ফারসি অনুবাদক ছিলেন দারা শিকোহ এমন উল্লেখ করে অমর্ত্য সেন বলেন, সিরাজ-উদ-দৌলাকে লেখা রবার্ট ক্লাইভের একটি চিঠিতে ক্লাইভ সিরাজের নয়জন বন্ধুর নাম উল্লেখ করেছিলেন যাদের মধ্যে সাতজনই ছিলেন হিন্দু।
এদিকে কলকাতার সল্টলেকের এক অনুষ্ঠানে দেওয়া অমর্ত্য সেনের এমন বক্তব্য এখন রীতিমত আলো ছড়াচ্ছে দুই দেশের সুধী সমাজে।
জেড নিউজ,ঢাকা।