একসময় যিনি ছিলেন ১৬ কোটি মানুষের ‘পিও অভিভাবক’ এখন তিনি অভিভাবকশুণ্য। হয়তো এমন লাঞ্ছনার জীবনই তার প্রাপ্য ছিলো। চব্বিশের গণহত্যাকারী হাসিনার এই জৌলুসহীন মানবেতর জীবন দেখার যে তৃপ্তি তা নিশ্চয়ই উপভোগ করছেন এদেশের সাধারণ জনগণ।
তবে কথায় আছে, অন্ধকারের মাঝেও কিছু না কিছু আলো থাকে। তাইতো দিল্লিতে পলাতক জীবনে হাসিনার জন্য আলো হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। কেননা এখন হাসিনার লোকাল গার্ডিয়ান বা পিও অভিভাবক তিনিই।
খবর বেরিয়েছে, হাসিনার মনকষ্ট কমাতে তাকে একটা এক্সট্রা ভাইভ দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। দিল্লিতে তারজন্য একটি অফিসও নাকি খোলা হয়েছে। যেখানে বসে তিনি দুধের সাধ ঘোলে মেটাচ্ছেন। নিঃসঙ্গতা কাটাতে সেখাতে তাকে মাঝেমধ্যেই সঙ্গ দিচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
কখনো কখনো কামাল-কাদেরদের সঙ্গেও বসছেন তিনি। করছেন রাজনৈতিক আলাপ, শোনাচ্ছেন স্বজন হারানো বেদনার করুন স্মৃতি চারন। এতেই নাকি এখন বেশ ফুরফুরে চব্বিশের খুনি।
সূত্রের বরাতে বুধবার একটি জাতীয় দৈনিক জানিয়েছে, কলকাতার পর দিল্লিতে হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় খোলার বিষয়টি ইতিমধ্যে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সেখানকার মোদি বিরোধী দলগুলো হাসিনাকে শেল্টার দেওয়া নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ। এই ক্ষোভ ধীরে ধীরে জাতীয় বিতর্কে রূপ নিতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
জেড নিউজ, ঢাকা।