বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমায় থাকার পরিকল্পনা ছিলো হাসিনা সরকারের। যে কারনে জঙ্গি বিরোধী অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে স্বীকৃতি আদায় করতে চেয়েছিলো তারা। আর এ কারনেই মাঝেমধ্যেই কথিত জঙ্গি নিধন অভিযানে নামতো হাসিনার খুনি বাহিনী।
২০১৬ সালে গাজীপুরে তেমনই একটি অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। ওই বছরের ৮ অক্টোবর জয়দেবপুরের পাতারটেক নামক এলাকার একটি দোতলা বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। পরে দুপুর বারোটার দিকে বিশেষ বাহিনী সোয়াট বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে হত্যা করে।
তবে তথ্য সূত্র বলছে, অপারেশন স্পেট-এইটনামে সে সময়কার চালানো ওই অপারেশনের নিহতরা কেউই জঙ্গি ছিলো না। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এসব নিরীহদের জঙ্গি সাজিয়ে হত্যা করা হয়। বিষয়টি সে সময় আন্তর্জাতিক ভাবে বেশ সাড়া ফেলে।
এদিকে কথিত জঙ্গি ওই সাত যুবককে হত্যার ঘটনায় সে সময়কার পুলিশ প্রধান জাবেদ পাটোয়ারীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ গ্রেপ্তায়ারি পরোয়ানা জারি করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাসিনার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে এসব জঙ্গি নাটক সাজিয়ে একদিকে নিরীহ লোকদের যেমন হত্যা করা হয়েছে তেমনি এখন তার খেসারত দিতে হচ্ছে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদেরও। এ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর যেমন শিক্ষা নেওয়ার আছে তেমনি শেখার আছে বর্তমান সরকার ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকেও।
জেড নিউজ, ঢাকা।