বাংলাদেশই পৃথিবীর একমাত্র মুসলিম দেশ যার প্রতিবেশি দুটি দেশেরই মাদক উৎপাদনে সক্ষমতা পৃথিবী স্বীকৃত। যে কারনে চাইলেই মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বছরের পর বছর ধরে দেশের অভ্যন্তরে নানামুখী তৎপরতা চালানোর পরও মাদকের বিস্তার বাড়ছেই।
তথ্য বলছে, দেশে মাদকের সিংহভাগই আসে প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার থেকে। দেশটির সঙ্গে ২৭১ কিলোমিটারের সীমান্তের কেবল কক্সবাজারেই রয়েছে ১৯টি পয়েন্ট। যেখান থেকে প্রতিদিনই ইয়াবা ও আইসসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ঢুকছে।
মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার কবলে পড়ে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই বসবাস করছে কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে। মাদক পাচারকে কেন্দ্র করে এই সব ক্যাম্পগুলোতে গড়ে উঠেছে অপরাধী সিন্ডিকেট। যারা হরহামেশাই জড়াচ্ছে সংঘাত-সংঘর্ষে।
গণমাধ্যমের খবর বলছে, রাখাইনের প্রায় ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ এখন দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির হাতে। মূলত এই গোষ্ঠীটিই বাংলাদেশে মাদক সরবরাহ করে তাদের অর্থের যোগান ঠিক রাখছে। এই অবস্থায় দিন দিনই বাড়ছে বাংলাদেশে মাদকের বিস্তার।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার। যে কোনো মূল্যে মাদকের বিস্তার রোধে ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে জাতীয় টাস্কফোর্স। সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত এই টাস্কফোর্স এক যোগে কাজ করলে মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেড নিউজ, ঢাকা।