রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে রাশিয়ার পাওনা অর্থ পরিশোধের দীর্ঘ জট অবশেষে খুলতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে সাড়ে তিন বছর ধরে অর্থ আটকে থাকলেও সম্প্রতি ডিসেম্বর পর্যন্ত শিথিলতার আওতায় পরিশোধ করার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ । যা কাজে লাগাতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো মো. শাহ্রিয়ার কাদের জানিয়েছেন, রাশিয়ার পাওনা নিষ্পত্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছাড় দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে গত জুন পর্যন্ত জমা করা হয়েছে ১০৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে কিছু খরচ বাদে এখনো প্রায় ৮৫ কোটি ডলার রাশিয়ার কাছে বকেয়া রয়েছে।
রাশিয়ার অর্থায়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হয়। চুক্তিমূল্যের ৯০ শতাংশ অর্থাৎ ১ হাজার ১৩৮ কোটি ডলার অর্থায়ন করছে রাশিয়া। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় এক লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা।
ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ার কথা ২০২৭ সালের মার্চে। তবে বর্তমান সরকার ঋণ পরিশোধ শুরুর জন্য বাড়তি দুই বছর গ্রেস পিরিয়ড চেয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে অর্থ পরিশোধ করতে পারেনি। বিকল্প হিসেবে চীনের ব্যাংক ব্যবহার ও সিআইপিএস সিস্টেমে যুক্ত হওয়ার আলোচনা হলেও তা ব্যর্থ হয়।
এখন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সীমিত শিথিলতাকে কাজে লাগিয়ে রূপপুর প্রকল্পের অর্থ পরিশোধ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে চায় সরকার ।
জেড নিউজ , ঢাকা ।