স্বাধীনতা দিবস, যেদিন ভারতের জনগণ নিজেদের মুক্তির গল্প উদযাপন করে, সেই দিনেই এবার নাগরিকদের খাবারের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মোদির। ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে দেশটির বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌর কর্তৃপক্ষ কসাইখানা ও মাংসের দোকান বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে।
এ নিয়ে ভারতে বড় ধরনের রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। দলমত-নির্বিশেষে অনেক রাজনীতিক এই নিষেধাজ্ঞাকে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাদের মতে, স্বাধীনতা দিবসে মানুষের স্বাধীনতাই লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
হায়দ্রাবাদ এমপি ও অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এ নির্দেশনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। ওয়াইসি এক্সে লিখেছেন, ভারতের অনেক মিউনিসিপাল করপোরেশনই ১৫ আগস্ট কসাইখানা ও মাংসের দোকান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এটা অমানবিক ও অসাংবিধানিক। স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে মাংস খাওয়ার কী সম্পর্ক? তেলেঙ্গানার ৯৯ শতাংশ মানুষ মাংস খায়। এই নিষেধাজ্ঞা মানুষের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, জীবিকা, সংস্কৃতি, পুষ্টি ও ধর্মীয় অধিকারের লঙ্ঘন।
এ নিয়ে শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে বলেছেন, পৌর কমিশনারের দায়িত্ব নয় কে কী খাবেন তা নির্ধারণ করা। তাঁর মতে, কমিশনারকে বরখাস্ত করা উচিত। আদিত্য বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে আমরা কী খাব, তা আমাদের অধিকার, আমাদের স্বাধীনতা। তারা আমাদের বলতে পারে না কী খাব। আমাদের ঘরে এমনকি নবরাত্রিতেও প্রসাদে চিংড়ি ও মাছ থাকে, কারণ এটাই আমাদের ঐতিহ্য। এটাই আমাদের হিন্দুত্ব। কেন আপনারা আমাদের ঘরে ঢুকছেন।
জেড নিউজ , ঢাকা ।