চব্বিশের গণহত্যায় হাসিনার বিচার যখন চলছে, তখন একে একে বেরিয়ে আসছে কেঁচো খুঁড়তে সাপ। হাসিনার অপরাধের ফিরিস্তি যতই সামনে আসছে ততোই অবাক হচ্ছেন বিচারাঙ্গণ সংশ্লিষ্টরা। হতবাক হচ্ছে জাতি। তার ভেতর জিঘাংসার যে ভয়াল রূপ ফুটে উঠছে তা এক কথায় অকল্পনীয়। অপরাধের এমন ফিরিস্তি পৃথিবীর ঘৃণিত খুনিদের কাতারের উপরের দিকেই স্থান দিচ্ছে তাকে।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া শেখ হাসিনার আরেকটি ফোনালাপে সেই সময় আন্দোলনকারীদের গুলি করে মারার কথা বলেন। ইংল্যান্ডে ছাত্র রাজনীতির জন্য গুলি করে মারার রেকর্ড রয়েছে এমন উল্লেখ করে ওই রকম অ্যাকশন নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেন। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সে সময়কার ভিসি এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে ফোনে এসব কথা বলেন তিনি।
ফাঁস হওয়া ফোন রেকর্ডটি ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণ হিসেবে জমা দিয়েছে প্রসিকিউশন।ঢাবি ভিসিকে হাসিনা বলেন, রাজাকারের কী অবস্থা হয়েছে দেখিস নাই, সবগুলোকে ফাঁসি দিছি, এবার তোদেরও ছাড়ব না। ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়ার আগে তদন্ত সংস্থা ওই অডিও রেকর্ডটি জব্দ করে ফরেনসিক পরীক্ষা করে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে সোমবার হাসিনার ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপটি তার বিরুদ্ধে চলমান হত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেড নিউজ, ঢাকা