চলতি বছরের শেষ নাগাদ চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি, লালদিয়ার চর ও বে-টার্মিনালে অপারেটর নিয়োগ দিয়ে যেতে চায় সরকার। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা এখনের চেয়ে বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বন্দরে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে শিপিং এবং লজিস্টিক এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আশিক চৌধুরী বলেন, আর্ন্তজাতিক দরপত্র করার প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের ইচ্ছা আছে এ বছরের শেষ নাগাদ সবগুলো পোর্টের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে এনসিটি, লালদিয়া এবং বে টার্মিনাল–এ তিনটার ক্ষেত্রেই প্রথম অপারেটরটাকে নিয়োগ দিয়ে যাওয়া। নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল, চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড, নৌবাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৩০ শতাংশ এবং জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় কমেছে ১৩ ঘণ্টা। ফলে বন্দর ব্যবহারে দুর্নীতি-হয়রানি আগের চেয়ে কমেছে।
তিনি আরও বলেন, এলসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে বন্দরে আধুনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং সুবিধা, ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম এবং উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু হবে। অপরদিকে বে-টার্মিনাল সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিদিনের পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
লালদিয়া উন্নয়ন প্রকল্প চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, এলাকায় নতুন জেটি, উন্নত নৌপথ, কনটেইনার হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে। লালদিয়ার সম্প্রসারণ সম্পন্ন হলে একসঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক বড় জাহাজ নোঙর করতে পারবে। পণ্য ওঠানামার সময় অর্ধেকে নেমে আসবে।
জেড নিউজ, ঢাকা।