পতিত শেখ হাসিনার সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের এক চরম অর্থনৈতিক ধ্বংসাবশেষের ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এক বছর পেরিয়ে দেখা যাচ্ছে, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন প্রচেষ্টা শুধু প্রশংসনীয় নয়, একইসাথে কৌশলী ও বাস্তবভিত্তিক। যা একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে সম্ভাবনার ভবন গড়ার এক দুরূহ অথচ সাহসী প্রয়াস।
যার ফল স্বরূপ দুই অর্থবছর ধরে যেখানে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে অবস্থান করছিল, সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর মাত্র ৯ মাসেই তা ৮ শতাংশের ঘরে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
শুধু মূল্যস্ফীতিই নয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রেও সরকার দেখিয়েছে অভাবনীয় দক্ষতা। ১৪ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নিয়ে শুরু করে এক বছরের ব্যবধানে তা উন্নীত হয়েছে ৩২ বিলিয়নে।
অর্থনীতির আরেকটি চাঙ্গা সূচক হিসেবে রেমিট্যান্স প্রবাহের কথা উল্লেখযোগ্য। গড়ে প্রতি মাসে ২৫০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসছে। এর পেছনে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপগামী শ্রমবাজারে সরকারি হস্তক্ষেপ এবং হুন্ডি রোধে ডিজিটাল রেমিট্যান্স চ্যানেলের সম্প্রসারণ।
বিদায়ী অর্থবছরে সুদসহ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলারের বেশি, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ।
এছাড়া সরকারের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক অর্জন সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ পারস্পরিক শুল্কহার কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা ।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কিন্তু ড. ইউনূসের কৌশলী নেতৃত্ব ও সঙ্কট মোকাবেলার দৃঢ়তা দেশকে একটি ভিন্ন সম্ভাবনার পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ।
জেড নিউজ , ঢাকা ।