২ আগস্ট ২০২৪, দিনটি ছিলো শুক্রবার। এদিন শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচী ছাড়াও পেশাজীবী, শিক্ষক, শিল্পী ও চিকিৎসকদের একাংশ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। দেশের ২৮ জেলায় ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালিত হয়।
রাজধানীর উত্তরাসহ দেশের একাধিক স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই জনের মৃত্যু ও গ্রেফতার করা হয় প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষ।
সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে পরদিন ৩ আগস্ট বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে ৪ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়।
এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে থাকা এবং সেখান থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি দেওয়ার বিষয়ে জানান, ডিবি অফিস থেকে তাঁরা স্বেচ্ছায় বিবৃতি দেননি, তাদের বাধ্য করা হয়।
রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে মাইলস্টোন কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে অন্তত ছয় শিক্ষার্থী আহত হয়।
হবিগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় একজন পথচারী নিহত হন। আহত হয় শতাধিক। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় খুলনায়। সে সময় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিশু, সাংবাদিক, পুলিশসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়।
এদিন দুপুর ১২টার পর থেকে ফের মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জেড নিউজ, ঢাকা।