অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভারত নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বর্হিবিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে শত্রু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে। এরই ধারাবহিকতায় বাংলাদেশ নিয়ে ফের গুজব কারখানায় তা দিচ্ছে দেশটি।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের গোপন আঁতাত, এবার পূর্ব ভারত দখল করবে , আবারো এক যুদ্ধের ঘন্টা বেজেছে- সম্প্রতি এমনই গালগল্পে মেতেছে ভারতীয় প্রোপাগান্ডা মিডিয়া।
তবে তাদের এই বর্ণনা যতটা রোমাঞ্চকর শোনায়, বাস্তবে তার ভিত্তি ঠিক ততটাই দুর্বল। এ ধরনের প্রচারের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। কারন বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোর একটি।
বাংলাদেশ সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়—এই নীতিতে বিশ্বাস করে।
কূটনৈতিকভাবে ভারসাম্য বজায় রেখে দেশটি সবার সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখছে। চীন, আমেরিকা, পাকিস্তান এমনকি ভারতের সঙ্গেও এ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ। আর এটাই হচ্ছে স্বাধীন সার্বভৌম পররাষ্ট্রনীতি। অথচ, ভারতীয় কিছু চরমপন্থী মিডিয়া এটাকে ‘ষড়যন্ত্র’হিসেবে দেখছে ।
আসল বিষয় হলো, এসব মিডিয়া অপপ্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে চাপে রেখে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে চায়। এছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাড়তে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদ ও নিরাপত্তাহীনতা আড়াল করতে বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের এ ধরনের অপপ্রচার বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা ।
জেড নিউজ , ঢাকা ।