ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঘিরে ফের উত্তাপ ছড়াল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, কেন্দ্র সরকারের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বর্তমানে কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছেন। কলকাতার নিউ টাউনের একটি আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি অভিযোগ করেন।
মমতা বলেন, ভারত সরকারি অতিথি হিসেবে কয়েকজনকে রেখেছে। পার্শ্ববর্তী দেশে সমস্যা হয়েছে বলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এটাও একটা রাজনৈতিক কারণ। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে ইঙ্গিত স্পষ্ট, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটের সময় ভারত, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উঠেছে একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
তিনি আরও বলেন, বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি হয়ে যাবে? এটা কেমন কথা! ভাষার টান বা উচ্চারণের ভিন্নতা থাকতেই পারে। ওপার বাংলার টান আলাদা হওয়া স্বাভাবিক। তাই বলে বিদেশি তকমা দেওয়া যাবে না।রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন এই তৃণমূল নেত্রী। জাতিসংঘের তথ্য দিয়ে তিনি জানান, ভারতে রোহিঙ্গার সংখ্যা মাত্র ২ হাজারের মতো, যাদের অনেকে জম্মু-কাশ্মীরে ক্যাম্পে আছেন। অথচ রোহিঙ্গা আর বাঙালিদের ইচ্ছাকৃতভাবে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে।
এছাড়া, যারা পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিয়েছে, তারা তো ভারতের নাগরিক; তাদের ধর্ম, বর্ণ বা রাজ্য দেখে অধিকার ছেঁটে ফেলা যাবে না। নাম কাটার অজুহাতে বাংলাভাষীদের হেনস্থা মেনে নেব না, সাফ জানিয়ে দেন মমতা।
জেড নিউজ, ঢাকা