সবুজ গাছপালা, রঙিন দেয়াল, ব্যস্ত করিডোর। যে জায়গা প্রতিদিন মুখরিত থাকত ছোট কচি পায়ের ছোটাছুটিতে, কলকাকলীতে ভরে উঠত সকাল-দুপুর; গত তিন দিন সেখানে বিষাদের নিঃসাড় নীরবতা! রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এখন যেন কষ্টের ভারে নুয়ে পড়া মৃত্যুপুরী!
বিমান দুর্ঘটনার পর বিদ্যালয়ের সুস্থ শিশুদের বিচরণও আর আগের মতো নেই। চোখের সামনে দাউদাউ আগুন আর বন্ধু-সহপাঠীর চিৎকার আজও তাড়া করে ফিরছে বেঁচে যাওয়া শিশুদের। সহপাঠী-বন্ধুর এমন করুণ মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না কোমল হৃদয় শিশুরা। বন্ধুবিয়োগের দগদগে ক্ষত এখনও পোড়াচ্ছে তাদের। দুর্ঘটনার পর উচ্ছল এসব শিশুরা এখন নিজেদের গুটিয়ে রাখছে অজানা আতংকে।
যে শিশুরা কলরবে উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে শ্রেনীকক্ষে, সেখানে এখন পড়ে আছে পোড়া ব্যাগ, বই-খাতা, আধখাওয়া টিফিন। সামান্য কিছু সময়ের ব্যবধানে এমন নিষ্ঠুর পরিবর্তনে হাহাকার শিক্ষক-অভিভাবকের বুকে।
সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের মতো এ শিশুরা আর ফিরবে না। তারপরও সব হয়তো একদিন স্বাভাবিক হবে। কিন্তু ছোট্ট শিশুদের মনে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, তা কীভাবে শুকাবে? এমন প্রশ্নই ঘুরে ফিরছে শিক্ষক-অভিভাবকদের মনে।
জেড নিউজ, ঢাকা।