অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লো এক রাঘব বোয়াল। দেশ ধংসের বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিলো যার হাত ধরে। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে একটি অবৈধ ও অগ্রহযোগ্য রায় দিয়ে যে কি না দেশে রাজনৈতিক সংঙ্ঘাতের সূচনা করেন। সেদিনের তার সেই দূরভিসন্ধিমূলক রায় বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছে বহুবছর। তার নাম বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি বাসা থেকে তাকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০১১ সালে অবসরের মাত্র কিছুদিন আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া সেই রায়টিই বাংলাদেশে ভ্রাতৃঘাতি রাজনীতির উদ্ভব করে। আওয়ামী লীগ শাসক থেকে পরিণত হয় শোষকে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধী রাজনীতিকদের গুম-খুনে মত্ত হয়ে পড়ে হাসিনা সরকার। হাজার হাজার রাজনীতিক কর্মীকে হত্যা ও লাখ লাখ মামলা দিয়ে দেশকে ঠেলে দেওয়া হয় বিরাজনীতি করনের দিকে। মানব থেকে দানবে পরিণত হন শেখ হাসিনা। সে কারনে খায়রুল হকই আসল কালপ্রিট।
চব্বিশের ৫ আগস্টের পর রাজনীতিতে নানান পরিবর্তন হলেও সাবেক এই প্রধান বিচারপতি ছিলেন আলোচনার বাইরে। বিপ্লবের পক্ষের শক্তিগুলো অনেকটা বিস্মৃতই ছিলেন তার ব্যাপারে। তবে সম্প্রতি তার নাম আলোচনায় ওঠে।
দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার লুন্ঠনের মাধ্যমে রাষ্ট্র কাঠামোতে নেতিবাচক পরিবর্তনের এই কারিগর অবেশেষে আটক হয়েছেন। তার আটকে স্বস্তি প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, কেবল হাসিনাই নয় চব্বিশের গণহত্যার পেছনে এই খায়রুল হকের ভূমিকাও কম নয়। তাকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এখন সময়ের দাবি।
জেড নিউজ, ঢাকা।